![]() |
| ভাদু উৎসব পশ্চিমবঙ্গের লোকসংস্কৃতি ও ভাদু দেবীর পূজা অনুষ্ঠান |
ভাদ্র মাস পড়লেই বাংলার সীমান্ত অঞ্চল—পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, এবং মেদিনীপুরের জনপদে এক ভিন্ন সুরের আগমন ঘটে। সন্ধ্যা হলেই পল্লীর কুমারীদের কণ্ঠে বেজে ওঠে সুমধুর ভাদু গান। দীর্ঘ এক মাস ধরে চলা এই উৎসব বাংলার এক অনন্য লোকনৃত্য-গীতের পার্বণ, যা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, স্থানীয় ইতিহাস ও সামাজিক অনুভূতির বাহক।
🌟 ভাদু উৎসব: এক ঝলকে মূল তথ্য:
| বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
| অঞ্চল | সীমান্ত বাংলা (পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর)। |
| সময়কাল | ভাদ্র মাস জুড়ে (ভাদ্র মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত)। |
| প্রকৃতি | মূলত নৃত্যগীতের উৎসব, মন্ত্র অর্চনার বিশেষ প্রচলন নেই। |
| প্রধান অংশগ্রহণকারী | কুমারীরা (সন্ধ্যায় নিজ নিজ ভাদুমূর্তি নিয়ে সমবেত হয়)। |
| উৎসবের সমাপ্তি | ভাদ্র সংক্রান্তির দিন (মূর্তি বিসর্জন)। |
ভাদু: কে এই দেবমানবী?
ভাদু দেবী না সাধারণ নারী—এই নিয়ে লোকসমাজে একাধিক জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। এই জনশ্রুতিগুলি ভাদুর পরিচয়কে দেবত্ব এবং মানবত্বের এক মিশ্রণে ফুটিয়ে তোলে:
(১) দুর্গার কন্যারূপে ভাদু: পঞ্চকোট রাজ্যের অধিপতি বা সামন্ত রাজ্য দোর্দণ্ড প্রতাপশালী কিন্তু মহাভক্ত। তাঁর সবই আছে, অভাব শুধু কন্যা সন্তানের; প্রৌঢ় রাজা তাই দেবী দুর্গাকে কন্যারূপে কল্পনা করেন। ভক্তদের ডাক সুদূর স্বর্গ থেকে দেবদেবীরা শুনতে পান, সময় সময় তাদের বাসনা পূরণও করেন। রাজা সেবার মানভূমের জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে পথভ্রান্ত হয়ে একাকী গভীর অরণ্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন-অকস্মাৎ দৃষ্টি পড়ল একটা ডুংরি বা টিলার উপর। সেখানে বসে আছে একটি অপরূপ সুন্দরী বালিকা, তাকে দেখে রাজার স্নেহের উদ্রেক হল। তার কাছে গিয়ে আত্মপরিচয় দিলেন ও তাকে প্রাসাদে নিয়ে গিয়ে কন্যার মত পালন করবার আগ্রহ জানালেন। বালিকাটি রাজী হল। একটু পরে রাজার লোক লস্কররা সেখানে এসে গেল। রাজা বালিকাটিকে প্রাসাদে নিয়ে এলেন দোলা করে। রাজারানী উভয়েই যেন হাতে মহামাণিক্য পেলেন। সেদিন ছিল ভাদ্র মাসের পয়লা, তাই বালিকাটির নাম রাখা হল ভাদ্রেশ্বরী ডাকনাম 'ভাদু'।
ভাদুর উৎপত্তি সংক্রান্ত জনশ্রুতিসমূহ:
| জনশ্রুতি নং | ভাদুর পরিচয় | মূল ঘটনা | গুরুত্ব |
| ১ (পুরোহিত মত) | দেবী দুর্গার অংশ, পঞ্চকোটের রাজকন্যা (ভাদ্রেশ্বরী)। | নিঃসন্তান রাজার কামনায় ভাদ্র মাসের প্রথম দিনে দুর্গার রাজকন্যা রূপে আবির্ভাব। পরে শিবের বিরহে তিনি কৈলাসে ফিরে যান। | রাজার দ্বারা পূজার প্রচলন। |
| ২ (পুরোহিত মত) | কৃষ্ণভক্তিমতী রাজকুমারী। | বিবাহের অনীহা। গভীর রাতে কৃষ্ণ মন্দিরে নৃত্যগীতরত অবস্থায় রহস্যময় মৃত্যু। | কৃষ্ণপ্রেমী রাজকুমারীর স্মৃতি রক্ষা। |
| ৩ (সাধারণ মত) | রাজকুমারী, সাধারণ তরুণের প্রেমিকা। | প্রকাশ্যে মিলনে বাধা থাকায় প্রেমিকের সঙ্গে গৃহত্যাগ বা আত্মহত্যা। | প্রেমিকা রাজকন্যার স্মৃতিকে জীবিত রাখা। |
| ৪ (গুরুত্বপূর্ণ মত) | নিপীড়িত বাউরী-বান্দীদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজকুমারী। | অন্ত্যজ শ্রেণির প্রতি মমতা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা। | এটিই ভাদুভক্তির মূল কারণ বলে মনে করা হয়, বাউরীরাই তাকে দেবী মর্যাদা দেয়। |
এদিকে স্বর্গরাজ্যে মহা বিপর্যয়।দুর্গা অন্তর্ধান করেছেন,তার বিরহে শিব জর্জরিত, দেবকুল মহাচিন্তান্বিত। নারদ দুর্গার অন্বেষণে বার হলেন। ঘুরতে ঘুরতে পঞ্চকোটে এসে জানতে পারলেন যে রাজ্যের রাজধানী কাশিপুরের রাজপ্রাসাদে দুর্গা আছেন রাজকন্যারূপে। বৃদ্ধ গায়কের বেশে রাজ-প্রাসাদে গিয়ে নারদ গানের মাধ্যমে দুর্গাকে জানালেন শিবের বিরহ যন্ত্রণার কথা। দুর্গা আর স্থির থাকতে পারলেন না, নারদের সঙ্গে অন্তর্হিত হলেন। পঞ্চকোটের রাজা-রানি মর্মাহত হলেন, একেবারে ভেঙে পড়লেন। রাজা শয্যাশায়ী। কৈলাস থেকে দুর্গা সবই জানতে পেলেন। অকস্মাৎ একদিন প্রাসাদে এসে রাজাকে আত্মপরিচয় দিতে রাজা সকল শোক ভুলে নিজের জীবনকে সার্থক মনে করলেন। দেবী চলে গেলেন, সেদিনটা ছিল ভাদ্রমাসের সংক্রান্তি। রাজা 'ভাদ্রেশ্বরী' বা 'ভাদু পূজা' আরম্ভ করলেন। তাঁর রাজ্যেও ওই পূজা উৎসবের প্রবর্তন হল।
(২) কৃষ্ণভক্ত ভাদু রাজকুমারী: পঞ্চকোটের রাজকুমারী ভাদু, দেবীর অংশে তার জন্ম, দেখতেও দেবীর মত, মহাভক্তিমতী। সারাদিন পূজাঅর্চনা নিয়েই থাকে প্রাসাদের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। ক্রমে ভাদুর কৈশোর পার হল। অসামান্যা রূপসী, পঞ্চ কোটের সম্ভ্রান্ত রাজার কন্যা। দেশ বিদেশের বহু রাজপরিবার থেকে তার বিবাহের প্রস্তাব ভাটমুখে আসতে লাগল... কিন্তু ভাদু বিবাহে অনিচ্ছুক...রাজা বিস্মিত ও একটু সন্দিগ্ধ হলেন... ভাদু কি কারুকে ভালবেসেছে? লক্ষ্য রাখলেন ভাদুর গতিবিধির উপর। গভীর রাত্রে দেখলেন-ভাদু নিজে কক্ষ ত্যাগ করে মন্দিরে গেল... মন্দিরের দরজা একবার খুলে সেই মুহূর্তে বদ্ধ হয়ে গেল, ভাদু সেই সময়ে বিগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করেছে। রাজা অতি সন্তর্পণে সেই কক্ষের সামনে যেতেই তাঁর কানে এল সঙ্গীত। শুধু ভাদু গাইছে না পুরুষের গলাও আছে। রাজা ভাবলেন ওটা মন্দিরের তরুণ পুরোহিতের। তিনি সক্রোধে বিগ্রহের কক্ষদ্বার ভেঙে প্রবেশ করতেই গান স্তব্ধ হল। স্তিমিত আলোয় রাজা দেখলেন ভাদু কৃষ্ণবিগ্রহের পদতলে লুটিয়ে পড়ল-ছোট কক্ষে অপর কেউ নেই তাও লক্ষ্য করলেন রাজা, ভাদুর গায়ে হাত দিয়ে বুঝলেন-সে মৃত। পঞ্চকোট রাজ্যের লোকেরা সে কথা জানতে পেরে ভাদু পূজা শুরু করল।এ দুটি হল পুরোহিতদের প্রচার, সাধারণ জনশ্রুতির বিষয়ও বলছি।
(৩) মানবপ্রেমে ভাদুর ত্যাগ: ভাদু রাজকুমারী হয়েও একটি সাধারণ তরুণকে ভালবেসেছিল কিন্তু প্রকাশ্যে মিলনের বাধা, তাই ভাদু গোপনে তার সঙ্গে গৃহ ত্যাগ করে। কেউ কেউ বলে তা নয়, প্রেমিকের সঙ্গে মিলনে বাধা থাকায় ভাদু আত্মহত্যা করে; সেই থেকে রাজকন্যার স্মৃতিকে জীবিত রাখবার জন্যে প্রজাদের মধ্যে ভাদু পূজার প্রবর্তন করেন।
সর্ব শেষে যে জনশ্রুতি বিষয় বলছি সেটির গুরুত্ব আছে। মনে হয় এটাই ওই অঞ্চলের এককালীন লোকদের ভাদুভক্তির কারণ হয়েছিল ও অনুন্নত শ্রেণির কাছে দেবীর মর্যাদা ভাদু পেয়েছিল। তারাই ভাদুর পূজা উৎসব শুরু করে, পরে অন্যত্র ভাদুপার্বণ বিস্তার লাভ করে।
(৪) অত্যাচারিতদের পক্ষের ভাদু দেবী: রাজকুমারী ভাদু রূপে গুণে দেবীর মতই-যেমন ভক্তিমতি তেমনি উদারহৃদয়া...কারুর দুঃখ কষ্ট দেখলে তার প্রাণ কাঁদে...সে সময় ওই অঞ্চলের অন্ত্যজ বাউরী বান্দীরা ছিল নিপীড়িত নির্যাতিত। ভাদুর মমতা ছিল তাদের প্রতি, তাদের উপর অন্যায় ব্যবহারের প্রতিবিধানে প্রয়াসী হয়। এতে রাজার আভিজাত্যে ঘা লাগে, কন্যার এই আচরণে বিরক্ত হন... ভাদু তার মহৎ কার্যে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে...ওই অঞ্চলের অনুন্নত শ্রেণির বাউরীরা তাকে ভক্তি করে। সেই কাল থেকেই এখনও ভাদু উৎসবের শেষে ভাদ্র সংক্রান্তির দিন তারা করুণ সুরে গান করতে করতে সমবেত ভাবে নদীর দিকে যায়। তা ভাদুর শবযাত্রা। ভাদুর মূর্তিকে আসনে বা কাঁধে শুইয়ে নিয়ে যায়।
ভাদু পূজা বলতে নৃত্যগীতের উৎসব, মন্ত্র অর্চনা বিশেষ নেই। ভাদ্র মাসের প্রথম দিন ওই উৎসব আরম্ভ হয় সমাপ্তি ঘটে সংক্রান্তির দিন। ভাদুর আকৃতি অতি সুশ্রী, বর্ণ ঘন হরিদ্রা। টানা টানা দুটি চোখ, কপালে লাল টিপ, মাথায় শোলা বা রাংতায় তৈরি বেশ বড় মুকুট। রঙিন শাড়ি (বা ঘাঘরা) ফুলকাটা বক্ষ-বন্ধনী পরা। দুটি হাত, এক হাতে মণ্ডা বা সন্দেশ, অন্য হাতে ধানের শিষ কিংবা একটি পান। মূর্তি সাধারণত দু'-ফুটের বেশি উচ্চ হয় না। সর্বদা উচ্চ আসনে উপবিষ্ট দেখা যায়।
ভাদু উৎসবে কুমারীদের প্রাধান্য দেখা যায়। কুমারীরা ভাদ্র মাসের প্রতি সন্ধ্যায় নিজ নিজ ভাদুমূর্তি নিয়ে পল্লীর মধ্যে আখড়া বা গ্রামের সমাজপতির মণ্ডপে সমবেত হয়ে ভাদুর গান আরম্ভ করে। প্রথম দিনে 'জাগ' গান হয়; কুমারীরা প্রায় সারারাত গান করে থাকে। কোন কোন অঞ্চলে পুরুষরাও ভাদুর গান করতে করতে পল্লী প্রদক্ষিণ করে। তাদের গানের সঙ্গে নানা রকম বাদ্যযন্ত্র থাকে, কোন কোন দলে একটি সুন্দর আকৃতির কিশোরকে বালিকার পোশাক পরা দেখা যায়। ভাদু উৎসবের প্রথম দিন কুমারীরা গেয়ে থাকে সাধারণত এইরূপ গান: "আদরিণী ভাদুরাণী আজ এলো ঘরকে"-
"আমার ভাদু ঘরকে এলেন
কুথায় বসাব?
পিয়াল গাছের তলায় বেদী,
আসন সাজাবো।
না-না-না-না-
আমার সোনার ভাদু
কোলে তুলে লাচাবো।"
সীমান্ত বাংলায় আদিবাসীদের মধ্যে ঝুমুর গানের বেশ প্রচলন আছে। ঝুমুর গানের গায়িকারা পেশাদার ও সমাজ বহির্গত নারী। তাদের ও বারাঙ্গনাদের মধ্যে ভাদু গানের অধিক প্রসার দেখে কোন কোন মনীষী মন্তব্য করেছেন, 'ভাদু উৎসব' আদিতে 'মদনোৎসব' বা ওই জাতীয় কোন নর-নারীর অবাধ মেলামেশার পার্বণ। তার নিদর্শন কিছুকাল আগে পর্যন্ত দেখা যেত। ভাদু উৎসবের শেষদিনে সন্ধ্যার পর কোন কোন স্থানে বেশ বড় মেলা হত। সেই মেলায় আদিবাসী তরুণতরুণীরা অবাধ মেলামেশা করত। স্থানীয় সমাজপতিরা ওই বিশেষ দিনে এই মেলামেশায় বাধা দিতেন না। বর্তমানে এ রীতিটা কমে গেছে।
বহু ব্যক্তির ধারণা ভাদু উৎসব প্রাচীন নয়। পঞ্চকোটের রাজা নীলমণি সিং তাঁর কন্যার মৃত্যু হলে ওই কন্যার স্মৃতি নৃত্যগীতের মাধ্যমে সজীব রাখবার জন্যে রাজ্য মধ্যে প্রবর্তন করেন। কিন্তু এ ধারণাটা ভিত্তিহীন বলেই মনে হয়। পঞ্চকোটের রাজ পরিবারের ইতিহাসে পাওয়া যায়, নীলমণি সিং ১৮১৩ সালে রাজত্ব করতেন, এও জানা যায় তাঁর বংশধররা আজও আছেন কিন্তু ভাদু পূজার উৎপত্তি কেন্দ্র ওই পঞ্চকোট, -এ ব্যতীত অন্য কিছু কারও কাছ থেকে জানা যায় না। পঞ্চকোট এককালে আদিবাসীদের একটি অতি পবিত্র স্থান ছিল। অবশ্য তা ছিল সামন্তরাজাদের আধিপত্যের আগে, যখন ওই অঞ্চলে আদিবাসী কোন সর্দার রাজত্ব করত। সাঁওতালী উপকথায় উল্লেখ আছে-পঞ্চকোটের আদি রাজা (একটি দেবতা বা) বোঙা ছিলেন, কিন্তু সে রাজবংশ নেই, পরবর্তী সামন্ত রাজা ওই রাজ্য অধিকার করলে সাঁওতালরা সে রাজ্য ত্যাগ করে। সাঁওতালরা ভাদু উৎসবে যোগ দেয় না-অনুন্নত শ্রেণীর হিন্দু বাউরী
বাদীরাই ভাদুর বিশেষ ভক্ত। ভাদুর বিসর্জনের দিন সীমান্ত বাংলার বহু পল্লীবাসী শোভাযাত্রা করে ভাদু মূর্তি জলাশয়ে নিয়ে যায়-আনন্দের সঙ্গে নৃত্যগীত করতে করতে।
কিন্তু ওই অঞ্চলের বাউরীরা ভাদুকে নিয়ে শবযাত্রা করে, করুণ সুরে গান করে। সে জন্যে মনে হয় ভাদু আদিতে বাউরীদের উপাস্যা করে তাঁর পূজা উৎসব ব্যাপকতা লাভ করে। উন্নত সমাজের ব্যক্তিরাও যোগ দেয়। ভাদু যে বাউরীদের দেবী তা অন্য দিক থেকে প্রমাণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ পুরীর জগন্নাথের নবকলেবর প্রতিষ্ঠাকালীন কয়েকটি আচার অনুষ্ঠানের উল্লেখ করা যায়। জগন্নাথের নবকলেবর প্রতিষ্ঠার সময় পুরাতন দারু বিগ্রহটি শবর জাতিরা অন্ত্যেষ্টির জন্যে বহন করে নিয়ে যায়। তারা রীতিমতো অশৌচও পালন করে। এ লক্ষ্য করে মনীষীরা অনেকে ধারণা করেছেন-জগন্নাথ আদিতে শবরদেরই উপাস্য ছিলেন। ভাদু বিসর্জনের সময় বাউরীদের শোক দেখলে মনে হয় হয়ত আদিতে ভাদু বাউরীদেরই উপাস্য ছলেন এবং ভাদু উৎসব প্রাচীন। তবে পরবর্তী কালে এর ওপর টুসু উৎসবের প্রভাব ড়েছে।
ভাদু ও টুসু পূজার কাল ও উৎসবের মধ্যে কয়েকটি আচার আচরণ লক্ষ্য করলে মনে হয় আদিতে এই সব দেবীরা শস্যদেবীই ছিলেন লক্ষ্মীর মত। বর্তমানে ওঁদের উৎসবে নৃত্যগীত প্রাধান্য পাওয়ায় সে কথা লোকে ভুলে গেছে।


We welcome thoughtful discussions. Comments are moderated for quality