![]() |
পদ্মাসন: উপকারিতা, করার নিয়ম ও গুরুত্ব |
পদ্মাসন যোগব্যায়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটি শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় না, মানসিক একাগ্রতাও বৃদ্ধি করে। এই ব্লগে আমরা পদ্মাসনের সঠিক পদ্ধতি, উপকারিতা এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পদ্মাসন করার পদ্ধতি
১. সমতল স্থানে যোগম্যাট বিছিয়ে বসুন। ২. দুই পা সামনে সোজা করে মেলে দিন। ৩. প্রথমে ডান পা হাঁটু ভাঁজ করে বাঁ উরুর উপর রাখুন। ৪. এরপর বাঁ পা ভাঁজ করে ডান উরুর উপর আনুন। ৫. হাত দুটি হাঁটুর ওপর রেখে জ্ঞানমুদ্রা বা ধ্যানমুদ্রা করুন। ৬. মেরুদণ্ড সোজা রেখে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ৭. চোখ বন্ধ রেখে ১-২ মিনিট অবস্থান করুন। ৮. পায়ের অবস্থান বদলে পুনরায় করুন। ৯. এভাবে দিনে ৩-৪ বার করতে পারেন।
পদ্মাসনের উপকারিতা
১. মানসিক উপকারিতা
- মনঃসংযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
- স্নায়বিক উত্তেজনা হ্রাস করে।
- ধৈর্য ও মানসিক স্থিরতা বাড়ায়।
২. শারীরিক উপকারিতা
- মেরুদণ্ড সোজা থাকে, কুঁজোভাব দূর হয়।
- হাঁটু ও গোড়ালির জয়েন্ট মজবুত হয়।
- পায়ের পেশি ও স্নায়ু সবল হয়।
- হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস বিশ্রাম পায়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়।
- বাত ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
৩. বিশেষ উপকারিতা
- যোগ ও ধ্যানের জন্য আদর্শ আসন।
- দৈহিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে।
- অধিক মনঃসংযোগ প্রয়োজন এমন কাজের আগে এই আসন করলে উপকার মেলে।
- দীর্ঘায়ুর সহায়ক এবং শরীরকে সতেজ রাখে।
পদ্মাসন করার সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
- প্রথমদিকে হাঁটুতে টান লাগলে আস্তে আস্তে অভ্যাস করুন।
- পায়ের জয়েন্টে সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- আরামদায়ক পোশাক পরুন, যাতে নড়াচড়া সহজ হয়।
- খালি পেটে বা হালকা খাবার খেয়ে করুন।
উপসংহার
পদ্মাসন শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, মানসিক প্রশান্তির জন্যও অপরিহার্য। নিয়মিত অভ্যাস করলে এটি দীর্ঘজীবন লাভের সহায়ক হতে পারে। তাই প্রতিদিন কয়েক মিনিট এই আসনটি অভ্যাস করে নিজের স্বাস্থ্যকে আরও সুগঠিত করুন।
আপনার মতামত কমেন্টে জানান এবং এই পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন!
We welcome thoughtful discussions. Comments are moderated for quality