🐯 বড় খাঁ গাজী: সুন্দরবন ছাড়িয়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল যাঁর খ্যাতি—বাংলার লোকদেবতা বড় খাঁ গাজী!

বড় খাঁ গাজী বা জিন্দাপীরের মূর্তি, যিনি ব্যাঘ্র দেবতা ও হিন্দু-মুসলমানের পূজ্য।

দক্ষিণ বাংলার লৌকিক দেবতা বড় খাঁ গাজী

বড় খাঁ গাজী দক্ষিণ বাংলার অন্যতম লৌকিক দেবতা, যিনি দক্ষিণরায় ও বনবিবির মতোই বনাঞ্চলের ব্যাঘ্রকূলের অধিষ্ঠাতা হিসেবে প্রসিদ্ধ। ইনি 'জিন্দাপীর' বা 'গাজীসাহেব' নামেও পরিচিত। বিখ্যাত পাঁচজন পীরের মধ্যে বড় খাঁ গাজী অন্যতম।

বিভাগ	বিবরণ
মূল পরিচয়	দক্ষিণ বাংলার অন্যতম লৌকিক দেবতা, ব্যাঘ্রকূলের অধিষ্ঠাতা।
অন্যান্য নাম	জিন্দাপীর, গাজীসাহেব।
গুরুত্বপূর্ণ পদ	বিখ্যাত পাঁচজন পীরের মধ্যে অন্যতম।
পূজক	হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ।
পূজারী/কর্তা	মুসলমান ফকিররা (গাজীসাহেবের থানের/আস্তানার কর্তা)।
প্রভাবের অঞ্চল	চব্বিশ পরগণা (বিশেষত সুন্দরবন), মেদিনীপুর, খুলনা, যশোহর।
ভক্তের শ্রেণী	আবাদকারী চাষি, জেলে-মালা, অন্যান্য বনজীবী, নৌজীবীরা।
উপকারক রূপ	গৃহস্থ ও তাদের গৃহপালিত পশুপক্ষীর কল্যাণের কামনায় শরণাগত হন।

লৌকিক দেবতার পূজকদের মধ্যে জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ নেই। পল্লীর বিভিন্ন বর্ণের ও সম্প্রদায়ের ব্যক্তি যেমন তাঁদের অঞ্চলের একই দেবতাকে পূজা করেন, তেমনই লৌকিক দেবকুলের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা দেখা যায় না। পল্লীর মাঠে, ঘাটে, গাছের তলায় দক্ষিণরায়, পঞ্চানন্দ, রঙ্কিনী, বাসলী প্রভৃতি যেমন আছেন, তেমনই সে সব স্থানে পীর, গাজী, বিবিদেরও পূজার থান বা দরগাও লক্ষ্য করা যায়। এঁরা হিন্দু-মুসলমান উভয়ের দেবতা। গাজীসাহেবের থানের কর্তা ফকিররা। এঁরা পূজা হাজোতের অন্তে সুর করে বলেন: গাজী মিঞার হাজোত সিন্নি সম্পূর্ণ হল। হিন্দুগণে বল হরি, মোমিনে আল্লা বল।

🙏 পূজা ও নৈবেদ্যের সারণি:

প্রকার	বিবরণ
নৈবেদ্যের প্রকৃতি	নিরামিষ।
উপকরণ	চিনির বড় বড় ফুল-বাতাসা, বীরখণ্ডি, এলাচদানা, পাটালি এবং দুধ বা ক্ষীরের শিরনি।
মালা/ফুল	মালা দেওয়া হয় না, তার বদলে সাজি ভর্তি ফুলের তোড়া দেওয়া হয়।
'ছলন'	ক্ষুদ্রাকৃতি ঘোড়ার মূর্তি। ('গাজীর ঘোড়া' বলতে বাঘ বোঝায়)।
পূজা সমাপ্তির উক্তি	"গাজী মিঞার হাজোত সিন্নি সম্পূর্ণ হল। হিন্দুগণে বল হরি, মোমিনে আল্লা বল॥"

চব্বিশ পরগণা, মেদিনীপুর, খুলনা, যশোহর প্রভৃতি জেলার বনময় অঞ্চলে এই গাজীসাহেবের প্রতি জনভক্তি এখনও বিশেষ হ্রাস পায়নি। চব্বিশ পরগণার সুন্দরবন অঞ্চলেই এঁর প্রভাব প্রতিপত্তি অধিক। ওই স্থানের আবাদকারী চাষি, জেলেমালা ও অন্য বনজীবীরা এঁকে ভক্তি সহকারে পূজা করেন। জলপথে সুন্দরবন পার হবার সময় নৌজীবীরা গাজীসাহেবের উদ্দেশে বলেন:আমরা আজি পোলাপান। গাজী আছে নিখাবান, শিরে গঙ্গা দরিয়া, পাঁচ পীর বদর বদর।

🎨 গাজীসাহেবের রূপ ও প্রতীক

বিখ্যাত পাঁচজন পীরের মধ্যে বড় খাঁ গাজী অন্যতম।গাজীসাহেবের মূর্তি সুশ্রী বীরপুরুষের মত। রং ফরসা, সব সময় যোদ্ধার বেশ পরেন (মুসলমানী চোগাচাপকান পিরাণ পাজামাও পরেন)। মাথায় টুপি বা পাগড়ি, মুখে লম্বা দাড়ি, গোঁফ জোড়া কান পর্যন্ত বিস্তৃত। জুল্ল্ফি নামানো, চোখ দুটি বড় বড়, এক হাতে অস্ত্র বা আসাদণ্ড অপর হাতে লাগাম। পায়ে বুট জুতা, পা দুটি রেকাবির উপর দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা। বাহন-বৃহৎ আকৃতির ঘোড়া। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এঁর স্তূপ-প্রতীক পূজিত হয়। পূর্ণ মূর্তি অতি বিরল। গাজীসাহেবের পৃথক থানে বা আস্তানায় মুসলমান ফকিররা পূজা হাজোতের কর্তা। এঁর পূজায় নিরামিষ নৈবেদ্য হিসাবে চিনির বড় বড় ফুল-বাতাসা, বীরখণ্ডি, এলাচদানা, পাটালি প্রভৃতি ও দুধ বা ক্ষীরের শিরনি দেওয়া হয়। মালা দেওয়া হয় না, তার বদলে সাজি ভর্তি ফুলের তোড়া এর পায়ের কাছে রাখার প্রথা আছে। 'ছলন' হিসাবে ক্ষুদ্রাকৃতি ঘোড়ার মূর্তি অনেক দেন। তবে 'গাজীর ঘোড়া' বলতে ওই সব অঞ্চলে বাঘই বোঝায়। দরগার ফকিররা কিছু কিছু কবিরাজি বা হাকিমি করেন। পল্লীর গৃহস্থরা শুধু নিজেদের জন্য নয়-তাঁদের গৃহপালিত পশুপক্ষীদের কল্যাণের কামনায় গাজীসাহেবের শরণাগত হন।

🎨 মূর্তির রূপ ও প্রতীক:

বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্র	বর্ণনা
বর্ণ/দেহ	সুশ্রী বীরপুরুষের মতো, রং ফরসা।
পোশাক	যোদ্ধার বেশ (মুসলমানী চোগাচাপকান, পিরাণ-পাজামাও), মাথায় টুপি বা পাগড়ি।
মুখমণ্ডল	লম্বা দাড়ি, গোঁফ জোড়া কান পর্যন্ত বিস্তৃত, জুল্ল্ফি নামানো, চোখ দুটি বড় বড়।
হাতে যা থাকে	এক হাতে অস্ত্র বা আসাদণ্ড, অপর হাতে লাগাম।
পায়ের অবস্থান	পায়ে বুট জুতা, পা দুটি রেকাবির উপর দৃঢ়ভাবে স্থাপিত।
বাহন	বৃহৎ আকৃতির ঘোড়া।
পূজিত প্রতীক	বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্তূপ-প্রতীক পূজিত হয়, পূর্ণ মূর্তি বিরল।

⚔️ দক্ষিণরায়ের সঙ্গে সংঘাত 

এই বড় খাঁ গাজী বা জিন্দাপীরের খ্যাতি যে এককালে বাংলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বিস্তৃত ছিল, তা এ অঞ্চল থেকে সুদূরে অবস্থিত মৈমনসিংহ জেলায় প্রাপ্ত লোক-সাহিত্যের উল্লেখ থেকে জানা যায়। মৈমনসিং গীতিকার 'মহুয়া' পালায় আছে:

"চাইর কোন পিরথিমি গো
বইন্ধ্যা করলাম স্থির।
সুন্দরবন মোকামে বন্দলাম
গাজী জিন্দাপীর।"

(বড় খাঁ গাজী স্বয়ং ব্যাঘ্রদেবতা ও প্রসিদ্ধ ব্যাঘ্রদেবতা দক্ষিণরায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে সর্বত্র খ্যাত।

 মধ্যযুগে রচিত কবি কৃষ্ণরাম দাসের 'রায়মঙ্গল' কাব্যে (এবং হরিদেবের 'রায়মঙ্গল'-এও) বড় খাঁ গাজীর উল্লেখ আছে।বাংলা দেশের শহরবাসী বহু শিক্ষিত ব্যক্তি এই বড় খাঁ গাজীর নামের সঙ্গে পরিচিত। কৃষ্ণরাম ব্যতীত অন্য কবি-হরিদেবের 'রায়মঙ্গল'ও প্রকাশিত হয়েছে। 

⚔️ দক্ষিণরায়ের সঙ্গে সংঘাত ও সমন্বয়:  

বিষয়	বিবরণ
সংঘাতের কারণ	ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য ভাঁটি অঞ্চলে আগমন; তখন দক্ষিণরায়ের অত্যধিক প্রতাপ ছিল।
উল্লেখিত কাব্য	কৃষ্ণরাম দাসের 'রায়মঙ্গল' কাব্য।
সংঘর্ষের সমাধান	ঈশ্বর (কৃষ্ণ-পয়গম্বরের রূপে) এসে বিরোধ মিটিয়ে দেন এবং সন্ধি স্থাপন করেন।
ফলাফল	দেবতাদের দুজনের মধ্যে ও হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সন্ধি স্থাপিত হয়।
সমন্বয়ের উদাহরণ	দক্ষিণরায়ের থানের কাছে গাজীসাহেবের আস্তানা; কোথাও 'বাউনগাজী' নামে পরিচিত।

কাহিনী-বড় খাঁ গাজী প্রথম যৌবনে পিতার অতুল সম্পত্তি ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্যে ফকিরী গ্রহণ করেন এবং ওই কারণে ভাঁটি অঞ্চলে (অর্থাৎ সুন্দরবনে) আসেন, 'কিন্তু তখন ওই স্থানে দক্ষিণরায়ের প্রতাপ প্রতিপত্তি অত্যধিক ছিল, সেজন্য দক্ষিণরায়ের সঙ্গে গাজীসাহেবের সংঘর্ষ হয়। ঈশ্বর কৃষ্ণ-পয়গম্বরের রূপ ধরে স্বয়ং এসে সেই সংঘর্ষ মিটিয়ে দেন। এই যুদ্ধের বর্ণনায় আছে:

"ক্ষিতি করে টলমল,
হেন বুঝি যায় তল,
বিকল সব দেবগণ।
কবি কৃষ্ণরাম ভনে,
দুই সিংহ যেন রণে,
কার না করিহ অল্প বোধ।

 সংঘর্ষের পর সন্ধি হল, শুধু দেবতাদের দুজনের মধ্যে নয়-হিন্দু-মুসলমানেও সন্ধি হল। সংঘর্ষের পর একটা সমন্বয় ঘটে থাকে অনেক সময়। আর্য-অনার্য মিলনের প্রথম থেকে এ ঘটে আসছে। বহু পল্লীতে দেখা যায়, যেখানে দক্ষিণরায়ের থান আছে তার কাছে গাজীসাহেবের আস্তানা। এ বিষয়ে একটি বিশেষ উদাহরণও দেওয়া যায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় একটি বিখ্যাত থানে এঁকে 'বাউনগাজী' বলে অভিহিত করা হয়-মূর্তিতে ব্রাহ্মণের কোন চিহ্ন নেই।

যুদ্ধের পর সন্ধি হয়েছিল, কিন্তু আক্রমণকারীরা পূজ্য হলেন কি করে। এ বিষয়ে একটা অনুমান করা যায়। ভারতে মুসলমান রাজ্য প্রতিষ্ঠার আগে, নবব্রাহ্মহ্মণ্য যুগে, একই সমাজের হিন্দুদের মধ্যে উচ্চকোটির নিম্নস্তরের ব্যক্তিদের আন্তরিক সম্পর্ক ছিল না। উচ্চ শ্রেণির লোকরা নিম্ন শ্রেণিদের কতকটা হেয় জ্ঞান করত, তারা অভিজাত দেবতাপূজায় অধিকার পেতেন না। এর পরে যখন হিন্দু সমাজের উচ্চকোটির সঙ্গে মুসলমান ধর্মপ্রচারকদের বিবাদ ঘটে ও অভিজাত দেবতাদের তারা উৎখাত করে, তখন এই পীর গাজীদের কার্যকলাপ উক্ত অনুন্নত শ্রেণীর হিন্দুদের মনঃপূত হয়েছিল, সে জন্য তাঁরা মুসলমান ধর্মপ্রচারকদের প্রতি শ্রদ্ধাবানও হন-ক্রমে পীর গাজীরা দেবতার পদে উন্নীত হয়।

ভক্তির কারণ বিষয়ে আরও একটি কথা মনে হয়। ওই পীর গাজীদের সঙ্গে সে সময়ের মুসলমান শাসকদের বেশ ঘনিষ্ঠতা থাকায় তাঁরা বেশ প্রভাব প্রতিপত্তিশালীও হয়েছিলেন, তুষ্ট হলে জাতিধর্মনির্বিশেষে অনেকের উপকারও করতেন। এ বিষয়ে নজির আছে। ঘুটিয়ারীর পীর মোবারক গাজী, বিখ্যাত ভূস্বামী মদন রায়কে তৎকালীন নবাবের ক্রোধ থেকে রক্ষা করেছিলেন।

আর পীর গাজীরা জানতেন, দৃঢ়মূলে সংস্কার একেবারে ধ্বংস করা যায় না। সেই কারণে লোকধর্মের সঙ্গে আপস করেছিলেন, যার ফলে অনুন্নত শ্রেণির কাছে জনপ্রিয় হন।

আলোচ্য গাজীসাহেবের নিকট থেকে হয়ত ওই স্থানের লোকেরা উপকার পেয়েছিলেন বা তাঁর মধ্যে কোন গুণ বা মহত্ত্ব দেখেছিলেন সেজন্য তাঁকে ভক্তি করতে থাকেন। কালক্রমে তাঁদের আদি কোন ব্যাঘ্রদেবতার সঙ্গে এই গাজীসাহেব মিশ্রিত হয়ে ব্যাঘ্রদেবতা-বড় খাঁ গাজী হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 'বড় খাঁ গাজী' বা 'জিন্দাপীর' কারও ব্যক্তিগত নাম নয়-ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের ওইরূপ বলা হত।

 💡 লৌকিক দেবতা হিসেবে উত্থানের কারণ:

কারণের ধরণ	ব্যাখ্যা
সামাজিক	নবব্রাহ্মহ্মণ্য যুগে উচ্চকোটির হিন্দুদের দ্বারা অনুন্নত শ্রেণির অবহেলিত হওয়া, এবং পীর-গাজীদের কার্যকলাপ তাদের মনঃপূত হওয়া।
রাজনৈতিক/ক্ষমতা	শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পীর-গাজীরা প্রভাবশালী হয়েছিলেন এবং তুষ্ট হলে উপকার করতেন (যেমন: মোবারক গাজী কর্তৃক মদন রায়কে রক্ষা)।
ধর্মীয় আপস	পীর-গাজীরা লোকধর্মের সঙ্গে আপস করেছিলেন, কারণ তাঁরা জানতেন দৃঢ়মূল সংস্কার ধ্বংস করা যায় না।
নামের উৎস	'বড় খাঁ গাজী' বা 'জিন্দাপীর' ব্যক্তিগত নাম নয়; ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের এরূপ বলা হতো।

🏷️ নামের তাৎপর্য

'বড় খাঁ গাজী' বা 'জিন্দাপীর' কারও ব্যক্তিগত নাম নয়। ইসলাম ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের ওইরূপ বলা হতো।

🔍 হুগলী জেলার 'বড় খাঁ'র সঙ্গে সংযোগ (গবেষণাসাপেক্ষ)

হুগলী জেলার ত্রিবেণীতে জাফর খাঁ ও তাঁর কথিত পুত্র 'বড় খাঁ'র সমাধি আছে। এই বড় খাঁ গঙ্গার ভক্ত ছিলেন এবং তাঁর উদ্দেশ্যে রচিত কাব্যে গঙ্গাদেবীকে তাঁর মাসী বলা হয়েছে। এঁর পটে বা 'গাজীর পটে' গঙ্গাদেবীর মূর্তি চিত্রিত থাকে। যদিও এই দুই গাজী অভিন্ন সে কথা নিঃসংশয়ে বলা যায় না, তবুও তাঁদের কার্যকলাপ বর্ণনায় কিছু মিল দেখা যায়। যদি এঁরা অভিন্ন হন, তবে এই গাজীসাহেব ও ব্যাঘ্রদেবতা দক্ষিণরায়ও যে খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক ব্যক্তি, তার প্রমাণ হবে।